মন্দিরের স্থাপত্য সম্পর্কে নিচের কোন জোড়াটি সঠিকভাবে মিলেছে?

সঠিক উত্তরটি হল মণ্ডপ - মন্দিরের স্থান যেখানে লোকেরা একত্রিত হতে পারে।

Key Points

• স্তুপ: 
  • স্তূপগুলি ছিল বৈদিক যুগ থেকে ভারতে প্রচলিত সমাধিস্তম্ভ।​
  • স্তূপগুলিতে একটি নলাকার ড্রাম রয়েছে যার মধ্যে একটি বৃত্তাকার আন্দা ও একটি হার্মিকা এবং শীর্ষে একটি ছত্র রয়েছে।
  • আন্দা: বুদ্ধের দেহাবশেষ ঢেকে রাখার জন্য ব্যবহৃত ময়লার ঢিবির প্রতীকী অর্ধগোলাকার ঢিপি (অনেক স্তূপে প্রকৃত ধ্বংসাবশেষ ব্যবহার করা হয়েছিল)।
  • হার্মিকা: ঢিবির উপরে বর্গাকার গরাদ।
  • ছত্র: কেন্দ্রীয় স্তম্ভ, যা একটি ত্রয়ী ছাতার  গঠন অবলম্বন করে। 
  • ব্যবহৃত উপাদান: স্তূপের মূল অংশটি অনাবৃত ইট দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল এবং বাইরের পৃষ্ঠটি পোড়া ইট ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছিল, যা পরে প্লাস্টার এবং মেধির পুরু স্তর দিয়ে আবৃত ছিল এবং তোরণ কাঠের ভাস্কর্য দিয়ে সজ্জিত ছিল।
• শিখর:
  • এটি একটি সংস্কৃত শব্দ যার অর্থ পর্বতশৃঙ্গ। এটি উত্তর ভারতের একটি হিন্দু মন্দিরের সবচেয়ে বিশিষ্ট এবং দৃশ্যমান অংশ। দক্ষিণ ভারতে এটি বিমানের মতোই হয়।​
  • শিখর হল উত্তর ভারতের হিন্দু মন্দির স্থাপত্যের ক্রমবর্ধমান মিনার।
  • এটি জৈন মন্দিরেও ব্যবহৃত হয়। 
  • শিখর গর্ভগৃহের উপরে থাকে।
  • গর্ভগৃহ হল হিন্দু ও জৈন মন্দিরের সবচেয়ে অভ্যন্তরীণ উপাসনা স্থান যেখানে মন্দিরের প্রাথমিক দেবতাকে রাখা হয়।
  • শিখরকে তিনটি প্রধান রূপে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে - ল্যাটিনা, সেখর এবং ভূমিজা।
  • শিখর হিন্দু মন্দির স্থাপত্যের অনেক শৈলীতে একটি উপাদান গঠন করে, এর তিনটি সবচেয়ে সাধারণ শৈলী হল নাগারা, ভেসারা এবং দ্রাবিড়। অন্তত 600 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে উড়িষ্যায় শিখরের ল্যাটিনা রূপ সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
• মণ্ডপ
  • ভারতীয় স্থাপত্য, বিশেষ করে হিন্দু মন্দিরের স্থাপত্য হল একটি স্তম্ভযুক্ত প্রেক্ষাগৃহ বা মণ্ডপ।
  • এটি মন্দিরে স্থান একটি যেখানে লোকেরা জড়ো হতে পারে। 
  • দেওয়াল আছে কিনা তার উপর নির্ভর করে মন্ডপগুলিকে খোলা বা বন্ধ হিসাবে বর্ণনা করা হয়। মন্দিরগুলিতে, এক বা একাধিক মণ্ডপ প্রায়ই উপাসনা কক্ষ এবং মন্দিরের প্রবেশদ্বারের মাঝখানে একই অক্ষে থাকে।
• গর্ভগৃহ:
  • হিন্দু মন্দিরগুলির সবচেয়ে ভিতরের দেবালয় যেখানে প্রধান দেবতার মূর্তি বা মূর্তি স্থাপন করা হয় তাকে গর্ভগৃহ বলা হয়।​
  • একে মন্দিরের গর্ভ কক্ষও বলা হয়। এই কক্ষে শুধুমাত্র পুরোহিতদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
  • গর্ভগৃহ হল একটি একক কক্ষ যার কক্ষটি উদীয়মান সূর্য লাভের জন্য পূর্ব দিকে মুখ করে থাকে।
  • এখানে কোন জানালা নেই এবং খুব কমই আলোর প্রবেশ ঘটে। ঘরটি বর্গাকার হয় এবং দর্শনার্থীদের দর্শনের জন্য দেবতা সাধারণত কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়।
  • গর্ভগৃহ হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র স্থান যেখানে দেবতার পূজা করা হয়।
  • এখানে দেবতাকে সমস্ত অর্ঘ্য প্রদান হয়। বাস্তুশাস্ত্র স্থাপত্যের প্রাচীন বিজ্ঞানকেনির্দেশ করে। এটি দুর্গ, শহর এবং অন্যান্য নির্মাণের সাথেও সম্পর্কিত।
  • এটি মহাজাগতিক মূল্যবোধের সাথে স্থাপত্যের দর্শনকেও সংযুক্ত করে।নারী দেবতাদের জন্য, গর্ভগৃহ আয়তাকার হয়।
  • তামিল ভাষায় গর্ভগৃহকে কারুভারই বলা হয়।
• প্রদক্ষিণ পথ 
  • এটি একটি হিন্দু মন্দিরের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য। এটি একটি শব্দ যা হিন্দু মন্দিরের গর্ভগৃহ বা গর্ভগৃহের চারপাশের উত্তরণ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
  • উত্তরণটি মূলত প্রদক্ষিণ (দেবতার চারপাশে ভ্রমন) করার জন্য প্রদান করা হয়েছে।
  • প্রদক্ষিণ পথে চলার সময় ভক্ত গর্ভগৃহে উপবিষ্ট বা দাঁড়িয়ে থাকা দেবতার সাথে ঐশ্বরিক যোগাযোগ স্থাপন করেন।
  • গর্ভগৃহের বাইরের দেয়ালে খোদাই করা দেবতার বিভিন্ন রূপ এবং অন্যান্য দিকগুলি এবং কিছু ক্ষেত্রে এমনকি প্রদক্ষিণপথেও একাগ্রতার বিন্দু হিসাবে কাজ করে যা ভক্তকে গর্ভগৃহে নিহিত মূল মূর্তিটির দিকে পরিচালিত করতে সহায়তা করে।