পুষ্টিমার্গের প্রবর্তক কে ছিলেন?

সঠিক উত্তরটি বল্লভাচার্য ।

• পুষ্টিমার্গ শ্রদ্ধার সঙ্গে কৃষ্ণ পূজার এক রূপবিশেষ ।
  • শ্রী বল্লভাচার্য (1479–1531 খ্রিস্টাব্দ) নামক জনৈক তেলুগু বৈদিকী ব্রাহ্মণ এই তত্ত্বের প্রবর্তক ছিলেন ।
  • তিনি শুদ্ধ-অদ্বৈত বা পরম/বিশুদ্ধ অদ্বৈতের প্রবর্তকও ছিলেন।
  • বল্লভাচার্য বিজয়নগর সাম্রাজ্যের সম্রাট শ্রী কৃষ্ণদেব রায়ের সমসাময়িক ছিলেন এবং দ্বৈত ও অদ্বৈত দর্শনের গুণ ও অবগুণের বিষয় নিয়ে দীর্ঘ বিতর্কে অংশ নিতে তাঁর দরবারে উপস্থিত হয়েছিলেন ।
  • কিংবদন্তি অনুসারে তিনি তর্কযুদ্ধে শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হন এবং সম্রাট তাঁকে সম্মানিত করেন।

• পুষ্টিমার্গ হ'ল ভক্তির পথ , যা ভগবদ্গীতাতে মুক্তি অর্জনের প্রত্যক্ষ ও সহজ পদ্ধতিরূপে উল্লেখিত।
  • এটি পুষ্টি ভক্তিকে কেন্দ্র করে প্রবর্তিত হয়। পুষ্টির অর্থ পুষ্টি(পোষণলাভ) এবং ভক্তির অর্থ নিষ্ঠা।
  • পুষ্টি ভক্তি অর্থাৎ পরম দেবতা ভগবান কৃষ্ণের ভক্তি ও নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে আত্মাকে ঐশ্বরিক প্রেম এবং সুখের সাথে পুষ্ট করে তোলা।
  • বল্লভাচার্য তাঁর বৃন্দাবনে তীর্থযাত্রার সময় এই মার্গের প্রস্তাব করেছিলেন বলে জানা যায়।
  • তিনি যখন সেখানে অবস্থান করছিলেন, ভগবান কৃষ্ণের শ্রীনাথজি রূপে দর্শন পান যিনি তাঁর কাছে পরমব্রহ্মের সাথে ঐশ্বরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উপায় সম্পর্কে একটি পবিত্র মন্ত্র প্রদান করেছিলেন, যা পুষ্টিমার্গের ভিত্তি রূপে প্রতিষ্ঠিত হয়।
• পথটি ব্রাহ্মণ বা ব্রহ্মকে কোনও রকম সন্দেহ ব্যতীত এক ও অদ্বিতীয়, চূড়ান্ত এবং পরম বাস্তব হিসাবে স্বীকৃতি দেয় (একমেবাদ্বিতীয়ম ব্রহ্ম)।
  • এখানে যে সমস্ত কিছু রয়েছে তা কেবল ব্রহ্ম (সর্বম খালু ইদম ব্রহ্ম)। তিনি  এবং ভগবদগীতা এবং ভগবতমের পরমেশ্বর একই।
  • তাঁর কাছে পৌঁছানোর একমাত্র পথ হ'ল শ্রীকৃষ্ণের প্রতি নিবিড় নিষ্ঠা, যিনি সচ্চিদানন্দ পুরুষোত্তম পরমব্রহ্ম (সর্বদা সুখী, সেরা ব্যক্তি এবং পরম ব্রহ্ম)।
  • শ্রীকৃষ্ণের, বিশেষত তাঁর বাল্যরূপগুলির প্রতি ভক্তি, সেবা (সেবাভাব) -এর মাধ্যমে ও তীব্র ভালবাসার সাথে অনুশীলন করা উচিত।
  • পুষ্টিমার্গের প্রাথমিক উদ্দেশ্য মুক্তি নয়, ভগবান কৃষ্ণের প্রতি ভালবাসা এবং পরিতোষকে অনুভব করা এবং কৃষ্ণরূপকে কোনও দ্বৈততা ছাড়াই নিজের অন্তরের মধ্যে উপলব্ধি করা।